Table of Contents
চার্টার অ্যাক্ট 1833
1833 সালের চার্টার অ্যাক্ট, সেন্ট হেলেনা অ্যাক্ট 1833 নামেও পরিচিত, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট দ্বারা পাস করা একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন ছিল যা ব্রিটিশ ভারতের শাসন ব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল। এই আর্টিকেলে, চার্টার অ্যাক্ট 1833, গুরুত্ব এবং বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
চার্টার অ্যাক্ট 1833 গুরুত্ব
- 1833 সালের চার্টার অ্যাক্ট ছিল ভারতে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্রীভূত করার একটি বড় পদক্ষেপ। এর লক্ষ্য ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উপর ব্রিটিশ ক্রাউনের কর্তৃত্বকে শক্তিশালী করা, যেটি পূর্বে ভারতীয় কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য স্বায়ত্তশাসন উপভোগ করেছিল।
- এই আইনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলির মধ্যে একটি ছিল ভারতের সাথে বাণিজ্যের উপর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া আধিপত্যের বিলুপ্তি। এটি বেসরকারী ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের ভারতের সাথে বাণিজ্যে নিয়োজিত করার অনুমতি দেয়, যা ভারতীয় অর্থনীতির জন্য সুদূরপ্রসারী পরিণতি করেছিল।
- এই আইনে ভারতের একজন গভর্নর-জেনারেল নিয়োগের বিধান করা হয়েছিল, যিনি ব্রিটিশ ভারতের রাজনৈতিক প্রধান হতেন এবং বাংলা, মাদ্রাজ এবং বোম্বাইয়ের প্রেসিডেন্সির উপর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করতেন। লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক ছিলেন এই আইনের অধীনে নিযুক্ত প্রথম গভর্নর-জেনারেল।
- 1833 সালের চার্টার অ্যাক্ট গভর্নর-জেনারেলের ক্ষমতাকে প্রসারিত করে একটি আইন পরিষদ তৈরি করে যার মধ্যে সদস্য ছিলেন যারা ক্রাউন দ্বারা নিযুক্ত ছিলেন এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কোর্ট অফ ডিরেক্টরস দ্বারা নির্বাচিত হন। এই পরিষদ ভারতের জন্য আইন ও প্রবিধান প্রণয়নের জন্য দায়ী ছিল।
- আইনটি ভারতীয়দের অধস্তন পদে থাকা সত্ত্বেও সিভিল সার্ভিসে নিয়োগের অনুমতি দেয়। প্রশাসনে ভারতীয়দের বৃহত্তর অন্তর্ভুক্তির দিকে এটি একটি ছোট কিন্তু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ ছিল।
- এটি গভর্নর-জেনারেলকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সমস্ত রাজস্ব এবং ব্যয়ের বিবরণ জমা দেওয়ার জন্য আর্থিক নিয়ন্ত্রণের একটি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বেড়েছে।
চার্টার অ্যাক্ট 1833 বৈশিষ্ট্য
- ভারতের সাথে বাণিজ্যের উপর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া আধিপত্যের অবসান ঘটে, যার ফলে বেসরকারী ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা ভারতীয় বাজারে প্রবেশ করতে পারে।
- এই আইনটি ভারতের গভর্নর-জেনারেলের অবস্থান প্রতিষ্ঠা করে, প্রশাসনিক শ্রেণিবিন্যাসের শীর্ষে ক্ষমতাকে একত্রিত করে।
- এটি ভারতে আইন ও প্রবিধান প্রণয়নের জন্য একটি আইন পরিষদ তৈরি করে, যার সদস্যরা ক্রাউন দ্বারা নিযুক্ত হন এবং কোর্ট অফ ডিরেক্টরস দ্বারা নির্বাচিত হন।
- যদিও এটি ভারতীয়দের সিভিল সার্ভিসে নিয়োগের অনুমতি দেয়, তারা প্রাথমিকভাবে নিম্ন পদে সীমাবদ্ধ ছিল।
এই আইনের জন্য গভর্নর-জেনারেলকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আর্থিক প্রতিবেদন জমা দিতে হবে, ক্রমবর্ধমান তদারকি ও জবাবদিহিতা। - এটি ধর্মীয় ক্রিয়াকলাপের কোম্পানির পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করে এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার অনুমতি দিয়ে ধর্মীয় সহনশীলতার প্রচার করেছে।
1833 সালের চার্টার অ্যাক্ট ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্যিক স্বার্থ হ্রাস করে এবং ব্রিটিশ ক্রাউনের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণকে শক্তিশালী করে ভারতের শাসন ব্যবস্থায় একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন চিহ্নিত করে। এটি ভারতের প্রশাসনে পরবর্তী সংস্কার ও পরিবর্তনের ভিত্তি স্থাপন করে এবং ব্রিটিশ ভারতের বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিস্তারিত জানুন: চার্টার অ্যাক্ট 1853