Table of Contents
পরিবেশগত উপাদান এবং জীবজগৎ
পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্বের জন্য পরিবেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। “Environment” শব্দটি এসেছে ফরাসি শব্দ “Environ” থেকে যার অর্থ “চারপাশ”। একটি বাস্তুতন্ত্র বলতে পরিবেশে উপস্থিত সমস্ত জীব এবং জড়ের উপস্থিতিকে বোঝায় এবং এটি বায়োস্ফিয়ারের একটি ভিত্তি যা সমগ্র পৃথিবীর প্রাণীকূল ও উদ্ভিদজগৎকে আশ্রয় দেয়।
ইকোলজি এবং এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স হল একটি জীবন বিজ্ঞানের শাখা যা মূলত জীব সম্পর্কে অধ্যয়ন এবং অন্যান্য জীব এবং তাদের পরিবেশের সাথে তাদের মিথস্ক্রিয়ার সম্পর্ক নিয়ে কাজ করে।
পরিবেশগত উপাদানের প্রকার
পরিবেশের চারটি প্রধান উপাদানের মধ্যে রয়েছে লিথোস্ফিয়ার, হাইড্রোস্ফিয়ার, আটমোস্ফিয়ার এবং বায়োস্ফিয়ার। লিথোস্ফিয়ার হল পৃথিবীর বাইরের স্তর যাকে ভূত্বক বলা হয় যা বিভিন্ন খনিজ দিয়ে তৈরি। পৃথিবীর বায়ুস্তর কে আটমোস্ফিয়ার বলে,পৃথিবী তিনভাগ স্থল এবং এক ভাগ জল নিয়ে গঠিত এই এক ভাগ জলকে হাইড্রোস্ফিয়ার বলে। পৃথিবীতে অবস্থিত সমস্ত জীবজগৎকে বায়োস্ফিয়ার বলে।
জীবজগৎ
পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে, প্রজাতির মধ্যে এবং বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে পরিবর্তনশীলতা দেখা যায়। জৈব বৈচিত্র্য যাকে প্রায়শই জীববৈচিত্র্যে জীবের জৈবিক সংগঠনের সকল স্তরে জীবনের বৈচিত্র্য যা শুধুমাত্র একটি এলাকা জুড়ে জীবনের মোট সমষ্টিকেই নয় সেই রূপগুলির মধ্যে পার্থক্যের পরিসরকেও নির্দেশ করে। জীববৈচিত্র্য একটি একক জনসংখ্যার জিনগত বৈচিত্র্য থেকে সারা বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন বাস্তুতন্ত্রের সমষ্টি।
বাস্তুতন্ত্র, প্রজাতি এবং ব্যক্তিদের মধ্যে বৃহত্তর জীববৈচিত্র্য বৃহত্তর স্থিতিশীলতার দিকে পরিচালিত করে। উদাহরণস্বরূপ, উচ্চ জেনেটিক বৈচিত্র্য সহ প্রজাতি এবং অনেক জনসংখ্যা যেগুলি বিভিন্ন ধরণের অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে নেয় তারা আবহাওয়ার ব্যাঘাত, রোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনে সক্ষম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।