Table of Contents
Gandhi And The Indian National Congress
1869 খ্রিস্টাব্দে 2রা অক্টোবর গুজরাটের প্রাদেশিক রাজ্য কাথিয়াবাড় এর পোরবন্দর শহরে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী জন্মগ্রহণ করেন। ইংল্যান্ডে আইন পরীক্ষায় সাফল্যের পর 1891 খ্রিস্টাব্দে দেশে ফেরেন। তিনি মুম্বাইয় ও রাজকোটে আইন ব্যবস্থায় ব্যর্থ হয়েছিলেন এবং 1893 খ্রিস্টাব্দে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার নাতাল শহরে দাদা আব্দুল্লার হয়ে আইনজীবী হিসেবে মামলা লড়ার জন্য গমন করেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় কর্মসূত্রে আগত এশিয়া মহাদেশের শ্রমিকদের ওপর বর্ণবিদ্বেষী লক্ষ্য করেছেন এবং তিনি ভারতীয় শ্রমিকদের অধিকার অর্জনের সংগ্রামকে সংগঠিত করার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করার সিদ্ধান্ত নেন। 1914 সাল অবধি তিনি সেখানে বাস করেন পরে জানুয়ারি 1915 সালে স্বদেশে ফিরে আসেন।1915 সালের জানুয়ারি মাসে গান্ধীজী ভারতে প্রত্যাবর্তন করেন কিন্তু তিনি কোন রাজনৈতিক দলে যোগদান করেননি কারণ কোনো রাজনৈতিক দলই তার অহিংস সত্যাগ্রহের ওপর বিশ্বাস রাখেনি। 1917 থেকে 1918 সাল পর্যন্ত তিনি তিনটি সংগ্রামে যোগদান করেন এই সংগ্রাম গুলি হল
চম্পারণ সত্যাগ্রহ (1917)
- বিহারের চম্পারনে নীলচাষীদের সমস্যা অনুসন্ধান করার জন্য রাজকুমার শুক্লা গান্ধীজিকে অনুরোধ করেন। ইউরোপীয় আবাদি জমির মালিকরা চাষীদের মোট জমির 3/20 অংশ নীল চাষ করতে বাধ্য করেন। একে তিন কাঠিয়া পদ্ধতি বলা হয়।
- উনিশ শতকের শেষের দিকে জার্মানির সিন্থেটিক ডাই এই নীলকে প্রতিস্থাপিত করে।
- একটি ফসল থেকে অন্য ফসলের চাষে পরিবর্তনের আগে ইউরোপীয় জমির মালিকরা তাদের লভ্যাংশ বাড়ানোর জন্য কৃষকদের কাছ থেকে প্রচুর ভাড়া এবং অর্থনৈতিক পাওনা দাবী করল ঠিক চাষের পরিবর্তন করার পূর্বে।
- এছাড়াও ইউরোপীয় বণিকদের ধার্য করা দামে কৃষকদের উৎপাদিত শস্য বিক্রি করতে বাধ্য করা হল। যখন গান্ধীজী বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য চম্পারন পৌঁছালেন কর্তৃপক্ষ তাকে সত্বর স্থান ত্যাগ করার আদেশ দিলেন।
- গান্ধীজী উপেক্ষা করে শাস্তির সম্মুখীন হলেন ওই ধরনের নিষ্ক্রিয় প্রতিরোধ আইন অমান্য আন্দোলন একটি আদর্শ পদ্ধতি ছিল।
আমেদাবাদ বস্ত্র কারখানা ধর্মঘট(1918)
- সংক্রামক মহামারী ভাতা বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে মিল মালিকদের সহিত শ্রমিকদের সংক্রান্ত বিষয়ে গান্ধীজি হস্তক্ষেপ করলেন।
- গান্ধীজী শ্রমিকদের মজুরি 35%বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘট চালিয়ে যেতে আবেদন করলেন।
- কিন্তু কর্তৃপক্ষ মাত্র 20% বৃদ্ধির জন্য আগ্রহ দেখালে গান্ধীজীর অহিংস পথে ধর্মঘট করার পরামর্শ দেন।
- তিনি শ্রমিকদের দাবিকি জোরদার করার জন্য আমৃত্যু অনশনে যোগ দিলেন।অবশেষে মিল কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের মজুরি 35% বৃদ্ধি করতে সম্মত হন।
খেদা সত্যাগ্রহ(1918) বা (প্রথম অসহযোগ আন্দোলন)
- গুজরাটের খেদা জেলায় 1918 খ্রিস্টাব্দে খরার দরুন খাদ্যশস্য উৎপাদন শুন্য হয়ে যায়।
- রাজস্ব আইন অনুসারে যদি ফসল উৎপাদন 1/4 অংশের নিচে দাঁড়ায় কৃষকরা রাজস্ব থেকে রেহাই পেয়ে থাকেন কিন্তু কর্তৃপক্ষ কর ছাড় করতে অসম্মত হন।
- গান্ধীজী কৃষকদের সমস্যাকে সমর্থন করেন এবং রাজস্ব দেওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন।
Gandhi and the Indian National Congress, Important Points About Gandhiji
- 9 জানুয়ারি 1915 সালে গান্ধীজী ভারতে ফিরে আসেন এই দিনটি প্রবাসী ভারতীয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
- 1919 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গান্ধীজি এক সারা দেশব্যাপী প্রতিবাদের ডাক দেন। গান্ধীজী এক সত্যাগ্রহ সভার আয়োজন করেছিলেন এবং সমগ্র ইসলামিক দল ও হোমরুল লিগের দায়িত্বভার যুবক সদস্যদের হাতে তুলে দিলেন।
- গান্ধীজী 1919 সালের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের হিংসাত্মক বাতাবরণে বিচলিত হয়ে যান এবং 1919 সালের 18ই এপ্রিল রাওলাট সত্যাগ্রহ আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন।
- পরবর্তীকালে 1920 সালে মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনের সঙ্গে খিলাফৎ আন্দোলন যুক্ত হয়ে যায়।
- 1920 সালের 1লা আগস্ট মহাত্মা গান্ধী অসহযোগ আন্দোলনের সূচনা করেন।
- 1922 সালের 5ই ফেব্রুয়ারী গোরখপুরের কাছে চৌরি -চৌরার ঘটনার জেরে 1922 সালের 12ই ফেব্রুয়ারী বরদৌলিতে গান্ধীজি বাধ্য হয়ে অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন।
- 1922 সালের মার্চ মাসে গান্ধীজিকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাঁর 6 বছরের জেল হয়। কিন্তু 1924 সালের ফেব্রুয়ারী মাসে বরদৌলি থেকে স্বাস্থ্য খারাপ থাকার জন্য জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
- গান্ধীজীর আমেদাবাদের সবরমতী আশ্রম থেকে 78 সদস্যবিশিষ্ট একটি দলের সাথে গুজরাটের গ্রামের মধ্যে দিয়ে 240 মায়ের পথে যাত্রা শুরু করে এই ঐতিহাসিক পদযাত্রা| আইন অমান্য আন্দোলনের সূচনা করে যা শুরু হয় 12 ই মার্চ এবং গান্ধীজী 6 ই এপ্রিল 1930 সালে ডান্ডিতে এক মুঠো লবণ হাতে তুলে নিয়ে লবণ আইন ভঙ্গ করলেন|
- 1931 সালের 25 শে জানুয়ারি গান্ধীজি ও কংগ্রেস কার্যনির্বাহক কমিটির অন্যান্য সদস্যদের নিঃশর্তে ছেড়ে দেয়া হয়| কংগ্রেস কার্যনির্বাহী কমিটি গান্ধীজিকে দায়িত্ব অর্পণ করবেন|ভাইসরায়দের সাথে আলোচনা শুরু করার জন্য যা পরবর্তীকালে গান্ধী আরউইন চুক্তি বা দিল্লি চুক্তি নামে পরিচিত।
- 1931 সালের মার্চ মাসে করাচিতে বিশেষ অধিবেশন হয় গান্ধী আরউইন অথবা দিল্লি চুক্তিতে সই করার জন্য।
- দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠক সেখানে 1931 সালের দিল্লিতে দিল্লি চুক্তি অনুযায়ী কংগ্রেস রাজি হয়েছিল উপস্থিত হতে মহাত্মা গান্ধী বৈঠকে যোগদান করেন|
- 1932 সালে অবশেষে গান্ধীজী এবং ডঃ আম্বেদকর একটি সহমতে পৌঁছালেন যাকে পুনা চুক্তি বলা হয়|
- গান্ধীজী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারতীয়দের নিযুক্তির বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহ শুরু করেছিলেন।
- 1942 সালে ক্রিপস মিশনের প্রস্তাবে গান্ধীজি ‘ফেল পড়া ব্যাংকের ওপর চেক কাটার সামিল’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন।
- 12 ই ফেব্রুয়ারি থেকে 4ই মার্চ 1943 গান্ধীজী 21 দিনের অনশন শুরু করলেন ভারত ছাড়ো আন্দোলন চলাকালীন মানুষের হিংসার নিন্দা করে।
Other Study Materials | |
The Advent Of The Europeans In India | Indian National Congress(1885-1905) |
The Rowlatt Act | Non-Cooperation Movement (1920-1922) |
Quit India Movement | Indian National Army |
ADDA247 Bengali Homepage | Click Here |
ADDA247 Bengali Study Material | Click Here |