Table of Contents
Nawab of Bengal In Bengali: The Nawabs of Bengal were a series of Muslim rulers who governed the Bengal region in eastern India from the 18th to the 20th century. The title of Nawab was given to the governor of the Bengal province by the Mughal Emperor Aurangzeb in 1717, and the position continued to be held by various rulers until the end of British rule in 1947. The most notable and powerful of these rulers were the Nawabs of Bengal who held sway over a large portion of eastern India for almost 150 years.
Nawab of Bengal In Bengali | |
Category | Study Material |
Name | In BengaliNawab of Bengal |
Exam | West Bengal Civil Service(WBCS) and other state exams |
Nawab of Bengal In Bengali | বাংলার নবাব
Nawab of Bengal In Bengali: বাংলার নবাব ছিল বঙ্গীয় সুবাহের শাসকদের উপাধি, যা ছিল ভারতের মুঘল সাম্রাজ্যের একটি প্রদেশ। অষ্টাদশ শতাব্দীতে বাংলার নবাবরা ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের মধ্যে ছিলেন। তারা তাদের সম্পদ, তাদের সংস্কৃতি এবং কার্যকরভাবে অঞ্চল শাসন করার ক্ষমতার জন্য পরিচিত ছিল। মুঘলদের সিংহাসন দখলের লড়াই, রাজনৈতিক দণ্ড প্রভৃতি কারণে যখন তাদের সন্মান ,গৌরব ধ্বংসের দিকে এগোতে থাকে ঠিক সেই সময়ে সম্রাট ঔরঙ্গজেব তাঁর বিশ্বস্ত মুহম্মদ হাদীকে সমগ্র বাংলার দিওয়ান নিযুক্ত করেন এবং ‘মুর্শিদকুলী খান’উপাধি দেন । এরপর তার হাত ধরেই বাংলায় শুরু হয় নবাবী শাসন।
Nawab of Bengal In Bengali: Nawab Of Bengal List | বাংলার নবাব: বাংলার নবাবের তালিকা
Murshid Quli Khan (1717-1727) | মুর্শিদকুলী খান (1717-1727)
- ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব হন মুর্শিদকুলী খান।
- তিনি ছিলেন নাসিরি রাজবংশের ।
- তাঁর উপাধি ছিল জাফর খান বাহাদুর নাসিরি | তিনি এই উপাধি পান 1718খ্রি: |
- তিনি বাংলার রাজধানী মকসুদাবাদের নাম পরিবর্তন করে ‘মুর্শিদাবাদ” করেন 1717 সালে ।
Suja-ud-din Muhammad Khan (1727-1739) | সুজাউদ্দিন মুহাম্মদ খান (1727-1739)
- সুজাউদ্দিন মুহাম্মদ খান ছিলেন মুর্শিদ কুলি খানের জামাতা ।
- 1727 সালে মুর্শিদকুলি খানের মৃত্যুর পর সুজাউদ্দিনের পুত্র সরফরাজ সিংহাসন লাভ করেন । তবে পারিবারিক কারণবশত তিনি সিংহাসন ছেড়ে দিলে, সুজাউদ্দিন মুহাম্মদ খান সিংহাসনে বসেন। সুজাউদ্দিনের মৃত্যুর পর পুনরায় তার পুত্র সরফরাজ নবাব নিযুক্ত হন।
- সুজাউদ্দিন মুহাম্মদ খান সুজা উদ দৌলা উপাধি পেয়েছিলেন
Sarfaraz Khan Bahadur (1727-1727, 1739-1740) | সরফরাজ খান বাহাদুর (1727-1727, 1739-1740)
- মুর্শিদকুলী খানের মৃত্যুর পর বাংলার দ্বিতীয় নবাব হন সরফরাজ খান বাহাদুর ।
- পারিবারিক কারণবশত তিনি সিংহাসন ছেড়ে দেন। তবে তাঁর পিতা সুজাউদ্দিন মুহাম্মদ খান পরবর্তীকালে তাঁর উত্তরাধিকারী হিসেবে সরফরাজ খান বাহাদুরকেই মনোনীত করেন, এবং 1739 সালে পিতার মৃত্যুর পর তিনি পুনরায় নবাব হিসেবে নির্বাচিত হন।
- সিংহাসনে বসার পর তিনি আলাউদ্দিন হাইদার জং উপাধি লাভ করেন।
- পরবর্তীতে আলীবর্দী খাঁনের কাছে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে প্রাণ হারান । সেই সাথেই নাসিরি বংশের চিরবিদায় ঘটে ।
Alivardi Khan Bahadur (1740-1756) | আলীবর্দী খাঁন বাহাদুর (1740-1756)
- 1740 সালে গিরিয়ার যুদ্ধে আলীবর্দী সরফরাজকে পরাজিত ও নিহত করে বাংলা দখল করেন ।
- নাসিরি বংশের পতন ঘটিয়ে দীর্ঘ 16 বছর রাজত্ব করেন
- আলীবর্দী খাঁন বাহাদুর | তিনি আফসার রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন ।
- আলীবর্দী খাঁন বাহাদুরের প্রকৃত নাম ছিল মির্জা মুহম্মদ আলী |
- 1728 সালে সুজাউদ্দিন খান মির্জা মুহম্মদ আলীকে আলীবর্দী খান উপাধি দেন। সেই সময় থেকেই মির্জা মুহম্মদ আলী ‘আলীবর্দী খান’ নামে পরিচিতি লাভ করেন।
- বাংলায় মারাঠা আক্রমণ , আফগান বিদ্রোহ , যাই হোক না কেন আলীবর্দী খাঁন বরাবরই নিজের দক্ষতা ও রণকুশলতার পরিচয় দিয়েছেন এবং বাংলা থেকে বহিরাগতদের বিতাড়িত করেছেন |
Siraj-ud-aullah (1756-1757) | সিরাজদৌল্লা (1756-1757)
- নবাব আলীবর্দী খাঁনের মৃত্যুর পর ইংরেজরা নবাবের অনুমতি না নিয়েই কলকাতায় দুর্গ সংস্কার করা শুরু করে, চারিদিকে চলতে থাকে গভীর ষড়যন্ত্র। সেই অবস্থায় আলীবর্দী খাঁনের নাতি সিরাজদৌল্লা সিংহাসনে বসেন ।
- ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মতিঝিল প্রাসাদ অধিকার,কাশিমবাজার দুর্গ অবরোধ , কলকাতা আক্রমণ , নবাবগঞ্জের যুদ্ধ চলতে থাকে । সিরাজ একের পর জয়লাভ ও করেন। তবে তার বিরুদ্ধে চলতে থাকে গভীর ষড়যন্ত্র ।
- এরপর 1757 সালে জুন মাসে পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজদের মুখোমুখি যুদ্ধ শুরু হয়, তবে মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতার জন্য সেই যুদ্ধে পরাজিত হন।
- পলাশীর যুদ্ধে পরাজয় ও সিরাজের মৃত্যুর পরই ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের দৃঢ় সূচনা ঘটে ।
Mir Zafar (1757-1760, 1763-1765) | মীর জাফর (1757-1760, 1763-1765)
- মীর জাফর এর সম্পূর্ণ নাম সৈয়দ মীর জাফর আলী খান, তিনি ইংরেজ প্রভাবিত বাংলার একজন নবাব ছিলেন ।
- পলাশীর যুদ্ধে সিরাজের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার পর ইংরেজদের সাথে চুক্তি অনুযায়ী তিনি পরবর্তী নবাব নির্বাচিত হন ।
- তার শাসনকালেই ভারতে কোম্পানি শাসন শুরু হয়, এবং ব্রিটিশদের প্রভাব বিস্তার হতে থাকে ।
- 1760 সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পুনরায় 1763
- সালে ক্ষমতায় আসেন, ও তার মৃত্যুর আগে অবধি তিনি তার পদে স্থির ছিলেন ।
- মীর জাফরের হাত ধরেই বাংলায় শুরু হয় নাজাফি রাজবংশের শাসনকাল ।
Mir Qasim (1760-1763) | মীর কাসিম (1760-1763)
- ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার ফলে ব্রিটিশরা মীর জাফরকে ক্ষমতাচুত্য করে আর মীর কাসিমকে বাংলার নবাব নিযুক্ত করে ।
- মীর কাসিম ছিলেন সম্পূর্ণ ব্রিটিশ বিরোধী নবাব।তিনি ইংরেজদের বিরোধিতা করতেন । যার ফলে মীর জাফরের বকেয়া দেনা পরিশোধের দায়ভার তার ওপর পরে । তবে,মীর কাসিমের অসাধারণ দক্ষতার জন্যই তিনি স্বাধীনভাবে শাসন কার্য চালাতে পেরেছিলেন । তিনি তার রাজধানী মুর্শিদাবাদ থেকে মুঙ্গেরে স্থানান্তর করেছিলেন ।
- পরবর্তীকালে তিনি ইংরেজদের কাছে বক্সারের যুদ্ধে পরাজিত হন |
- নাজিম উদ্দিন আলী খান বাহাদুর (1765-1766):
- মীর জাফরের মৃত্যুর পর তার দ্বিতীয় পুত্র নাজিম উদ্দিনের রাজ্যাভিষেক ঘটে ।
- নাজিমুদ্দিনের পিতা তাকে মুর্শিদজাদা বাহাদুর উপাধি দিয়ে তার উত্তরাধীকারী হিসেবে ঘোষণা করেছিল ।
Najabat Ali Khan Bahadur (1767-1770) | নজাবত আলী খান বাহাদুর (1767-1770)
- নাজিমুদ্দিনের মৃত্যুর পর তার ভাই নজাবতআলী খান বাহাদুর ক্ষমতায় আসেন ।
- সাইফ উদ-দৌলা নামেই তিনি পরিচিত ছিলেন ।Ashraf Ali Khan Bahadur (1770-1773) | আশরাফ আলি খান বাহাদুর (1770-1773)
- মীর জাফরের চতুর্থ সন্তান ছিলেন আশরাফ আলী ।
- নাজাবত আলী খানের মৃত্যুর পর তিনি নিজেকে বাংলার নবাব ঘোষিত করেন ।
- তিনি মুবারক উদ-দৌল্লা উপাধি পান|
- ক্ষমতায় আসার কিছুদিনের মধ্যেই তিনি গুটিবসন্তে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ।
Babar Ali Khan Bahadur (1773-1810) | বাবর আলী খান বাহাদুর (1773-1810)
- আশরাফ আলীর মৃত্যুর পর তার পুত্র বাবার আলী সিংহাসনে বসেন ।
- তিনি একটানা অনেক বছর রাজত্ব করেছিলেন ।
- আজাদ উদ -দৌল্লা ছিল বাবর আলীর উপাধি ।
Zain Uddin Ali Khan Bahadur (1810-1821) | জাইন উদ্দিন আলী খান বাহাদুর (1810-1821)
- বাবর আলীর মৃত্যুর পর তার পুত্র জাইন উদ্দিন ক্ষমতায় আসেন ।
- জাইন উদ্দিন “আলী জা” নামেই পরিচিত ছিলেন ।
- জাইন উদ্দিনের পুত্র সন্তান না থাকায় তার মৃত্যুর পর তার সৎ ভাই সিংহাসনে বসেন ।
Ahmed Ali Khan Bahadur (1821-1824) | আহমেদ আলী খান বাহাদুর (1821-1824)
- জাইন উদ্দিনের মৃত্যুর পর তার সৎ ভাই আহমেদ আলী সিংহাসনে বসেন ।
- তিনি ওয়াল্লা জা উপাধি পেয়েছিলেন ।
- আহমেদ আলীর মৃত্যুর পর তার একমাত্র সন্তান ক্ষমতায় আসেন ।
Mubarak Ali Khan Bahadur (1824-1838) | মুবারক আলী খান বাহাদুর (1824-1838)
- আলীর মৃত্যুর পর মুবারক আলী ক্ষমতায় আসেন ।
- তিনি হুমায়ুন জা উপাধি পান ।
- মুবারক আলী মুর্শিদাবাদে হাজারদুয়ারি ও মোবারাক মঞ্জিল তৈরী করেছিলেন ।
Mansur Ali Khan Bahadur (1838-1880) | মনসুর আলী খান বাহাদুর (1838-1880)
- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ওয়ারেন হেস্টিংসকে প্রথম গভর্নর জেনারেল হিসেবে নিয়োগ করার পর বাংলার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই চলে যায় ।মনসুর আলী সেই সময় ব্রিটিশ অধিকৃত সাম্রাজ্যের নামমাত্র শাসক ছিলেন ।
- ফেরাদুন জা ছিল তার উপাধি ।
- মনসুর আলীই ছিলেন বাংলার শেষ নবাব । তবে 1880 সালে তিনি পদত্যাগ করেন । তিনি কোনো উত্তরাধিকারী ঘোষণা না করে যাওয়ায় তার মৃত্যুর সাথে সাথেই বাংলায় নাবাবি শাসনের ইতি ঘটে ও কোম্পানি শাসন জারি থাকে ।
Other Study Materials: