Table of Contents
West Bengal History
West Bengal History: For those government job aspirants who are looking for information about West Bengal History but can’t find the correct information, we have provided all the information about West Bengal History in this article.
West Bengal History | |
Name | West Bengal History |
Category | Study Material |
Exam | West Bengal Civil Service(WBCS) and other state exams |
West Bengal History in Bengali
West Bengal History in Bengali: পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার পশ্চিমবঙ্গ প্রাচীনকালের ইতিহাসে পরিপূর্ণ। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ঐতিহাসিক উল্লেখ রয়েছে যা বৈদিক ইতিহাসের পাশাপাশি মৌর্য,গুপ্ত ও মুঘল যুগের ইতিহাস এবং পাল ও সেন রাজবংশের ইতিহাস পাওয়া যায়।পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসের প্রথম অংশগুলি বৈদিক যুগের অন্তর্গত বলে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে যখন রাজ্যটি বিভিন্ন বংশোদ্ভূত এবং জাতিসত্তার অগণিত লোকের দ্বারা অধ্যুষিত ছিল। মহাকাব্য মহাভারত যুগে রাজ্যটি বেশ কয়েকটি সর্দার দ্বারা শাসিত হয়েছিল এবং পরবর্তী বৈদিক যুগে আর্যদের দ্বারা শাসিত হয়েছিল।
- পশ্চিমবঙ্গের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাকারী বিভিন্ন রাজবংশের মধ্যে পাল, পুন্ড্র এবং সেন বিশেষ উল্লেখের দাবিদার। ইতিহাসের বিশাল প্রমাণগুলি প্রায় 400 বছর বিস্তৃত গৌরবময় পাল শাসনের বর্ণনা করে।
- পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে যে রাজ্যটি ইসলামিক নৈরাজ্যের বিপর্যয়ের শিকার হয়েছিল যা শীঘ্রই মুঘল সাম্রাজ্যের সাংস্কৃতিক অযৌক্তিকতার দ্বারা অনুসরণ করেছিল। মুঘল শাসনের অধীনে পশ্চিমবঙ্গ একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল যা শিল্প ও বাণিজ্য করার উদ্দেশ্যে ব্যাবহৃত হত। তবে মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের ফলে অত্যাচারী ব্রিটিশ শাসন শুরু হয় যখন ভারত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একটি প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্য উপনিবেশে পরিণত হয়।
- তৃতীয় শতাব্দীতে মৌর্য ও গুপ্তরা তাদের শাসন প্রতিষ্ঠা করে। পালরা 800 খ্রিস্টাব্দ থেকে 11 শতক পর্যন্ত তাদের শক্তিশালী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল যার পরে সেনরা শাসন করেছিল। হিন্দু রাজবংশের শাসনে এই অঞ্চলের অর্থনীতি, শিল্প ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটে। 13 শতকের শুরুতে বাংলা দিল্লির সুলতান এবং পরে মুঘলদের একটি অংশ হয়ে ওঠে। মুসলমানদের প্রভাব শিল্প ও সংস্কৃতি এবং কুটির শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি ধর্মান্তরের দিকে পরিচালিত করে যা মসলিনের মতো দ্রব্য তৈরি করে যা সারা বিশ্বে ব্যাপক চাহিদা ছিল।
- সমুদ্রের সান্নিধ্যের ফলে বিদেশীদেরও প্রভাব দেখা দেয় — 16 শতকের প্রথম দিকে পর্তুগিজদের, প্রায় 1632 সালে ডাচদের, 1673-1676 সালের মধ্যে ফরাসিদের প্রভাব, 1676 সালে ডেনিশদের এবং 1690 সালে ব্রিটিশদের প্রভাব দেখা দেয়।বাংলার নবাবের সাথে ব্রিটিশদের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের সাথে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে ইংরেজরা বাংলার ক্ষমতা দখল করে। পলাশীর যুদ্ধ (1757) এবং বক্সারের যুদ্ধ (1764) মুঘল শাসনের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। ব্রিটিশরা পরবর্তীতে দ্বৈত প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়ে আসে 1905 সালে ইংরেজরা ধর্মের ভিত্তিতে বাংলাকে ভাগ করে। কলকাতা 1911 সাল পর্যন্ত ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। এর পরে রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়।
- 1947 সালে ভারত স্বাধীন হলে বাংলা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্ত হয়। ভারতের অংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং পাকিস্তানের অংশ পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিতি লাভ করে। পরে কোচবিহার রাজ্য, চন্দ্নগরের ফরাসি ছিটমহল এবং বিহারের কিছু অংশ পশ্চিমবঙ্গে যুক্ত হয়। বাংলা সেই ভূমির প্রতিনিধিত্ব করে যেটি তার স্বদেশী শিল্প ও কারুশিল্পের সাথে একটি স্বতন্ত্র সংস্কৃতির অধিকারী এবং এটিকে ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ করে তোলে।
- পশ্চিমবঙ্গ পূর্বে বঙ্গ নামে পরিচিত ছিল এবং একটি বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ছিল। প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন রাজবংশ দ্বারা শাসিত এই অঞ্চলের প্রকৃত ইতিহাস অবশ্য গুপ্ত যুগ থেকে পাওয়া যায়। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যখন জায়গাটি দখল করে তখন রাজ্যের সমৃদ্ধি এবং গুরুত্ব অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। এটি একটি বিস্তৃত বঙ্গ প্রদেশ ছিল যতক্ষণ না ভারতীয় স্বাধীনতা আইন, 1947 এর শর্তাবলীর অধীনে বঙ্গ প্রদেশের অস্তিত্ব বন্ধ হয়ে যায়। মুসলিম অধ্যুষিত জেলাগুলি যথা, চট্টগ্রাম, ঢাকা এবং প্রেসিডেন্সি এবং রাজশাহী বিভাগের কিছু অংশ বর্তমান বাংলাদেশে চলে যায় এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য 1947 সালে অস্তিত্ব লাভ করে। কোচবিহার জেলাটি 1 জানুয়ারি 1950,রাজ্যের সাথে একীভূত হয়।
- বাংলা অঞ্চলে তাম্র যুগের বসতিগুলির অবশিষ্টাংশগুলি 4,000 বছর আগের যখন এই অঞ্চলে দ্রাবিড়, তিব্বত-বর্মন এবং অস্ট্রো-এশিয়াটিক জনগণ বসতি স্থাপন করেছিল। ইন্দো-আর্যদের আগমনের পর, বাংলা অঞ্চলে এবং এর আশেপাশে অবস্থিত খ্রিস্টপূর্ব দশম শতাব্দীতে অঙ্গ, বঙ্গ এবং মগধ রাজ্যগুলি গঠিত হয়েছিল। অঙ্গ, বঙ্গ এবং মগধ রাজ্যের প্রথম বর্ণনা পাওয়া যায় অথর্ববেদে প্রায় 1000 খ্রিস্টপূর্বাব্দে।
- খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দী থেকে বাংলার বেশিরভাগ অংশ মগধের শক্তিশালী রাজ্যের একটি অংশ ছিল যা ছিল প্রাচীন ভারতের একটি প্রাচীন ইন্দো-আর্য রাজ্য যা রামায়ণ এবং মহাভারত উভয়েই উল্লেখ করা হয়েছে। এটি ছিল বুদ্ধের সময়ে ভারতের চারটি প্রধান রাজ্যের মধ্যে একটি, বিম্বিসার (আনুমানিক 544-491 খ্রিস্টপূর্ব) এবং তাঁর পুত্র অজাতশত্রুর ( 491-460 খ্রিস্টপূর্ব) রাজত্বকালে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিল। মগধ বিহার এবং বাংলার বেশিরভাগ অংশকে অন্তর্ভুক্ত করে।
প্রাচীন যুগ
খ্রিস্টপূর্বাব্দ 551 এ মহাজনপদ বঙ্গ, মহাভারতে অঙ্গ, বঙ্গ ও কলিঙ্গ রাজ্য তিনটাকে ভারতবর্ষ বা প্রাচীন ভারতের নিকটবর্তী রাজ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।বৃহত্তর বঙ্গদেশে সভ্যতার সূচনা ঘটে আজ থেকে 4,000 বছর আগে। এই সময় দ্রাবিড়, তিব্বতি-বর্মি ও অস্ত্রো-এশীয় জাতিগোষ্ঠী এই অঞ্চলে এসে বসতি স্থাপন করেছিল। বঙ্গ বা বাংলা শব্দের প্রকৃত উৎস অজ্ঞাত। তবে মনে করা হয়, 1000 খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ যে দ্রাবিড়-ভাষী বং জাতিগোষ্ঠী এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল তারই নামানুসারে এই অঞ্চলের নামকরণ হয় বঙ্গ। গ্রিক সূত্র থেকে খ্রিষ্টপূর্ব 100 অব্দ নাগাদ গঙ্গারিডাই নামক একটি অঞ্চলের অস্তিত্বের কথা জানা যায়। সম্ভবত এটি বৈদেশিক সাহিত্যে বাংলার প্রাচীনতম উল্লেখগুলির অন্যতম। মনে করা হয় এই গঙ্গারিডাই শব্দটি গঙ্গাহৃদ (অর্থাৎ, গঙ্গা যে অঞ্চলের হৃদয়ে প্রবাহিত) শব্দের অপভ্রংশ। খ্রিষ্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে বাংলা ও বিহার অঞ্চল নিয়ে গড়ে ওঠে মগধ রাজ্য। একাধিক মহাজনপদের সমষ্টি এই মগধ রাজ্য ছিল মহাবীর ও গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক ভারতের চারটি প্রধান রাজ্যের অন্যতম। মৌর্য রাজবংশের রাজত্বকালে প্রায় সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া মগধ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে এই সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ নরপতি মহামতি অশোকের রাজত্বকালে আফগানিস্তান ও পারস্যের কিছু অংশও এই সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।
প্রাচীনকালে জাভা, সুমাত্রা ও শ্যামদেশের (অধুনা থাইল্যান্ড) সঙ্গে বাংলার বৈদেশিক বাণিজ্য সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ মহাবংশ অনুসারে, বিজয় সিংহ নামে বঙ্গ রাজ্যের এক রাজপুত্র লঙ্কা (অধুনা শ্রীলঙ্কা) জয় করেন এবং সেই দেশের নতুন নাম রাখেন সিংহল। প্রাচীন বাংলার অধিবাসীরা মালয় দ্বীপপুঞ্জ ও শ্যামদেশে গিয়ে সেখানে নিজেদের উপনিবেশ স্থাপন করেছিলেন।
আদিমধ্য ও মধ্যযুগ
খ্রিষ্টীয় তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে মগধ রাজ্য ছিল গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রধান কেন্দ্র। বঙ্গের প্রথম সার্বভৌম রাজা ছিলেন শশাঙ্ক। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর প্রথম ভাগে তিনি একাধিক ছোটো ছোটো রাজ্যে বিভক্ত সমগ্র বঙ্গ অঞ্চলটিকে একত্রিত করে একটি সুসংহত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। শশাঙ্কের রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ (অধুনা মুর্শিদাবাদ জেলার রাঙামাটি অঞ্চল)। তার মৃত্যুর অব্যবহিত পরে বঙ্গের ইতিহাসে এক নৈরাজ্যের অবস্থা সৃষ্টি। ইতিহাসে এই সময়টি “মাৎস্যন্যায়” নামে পরিচিত। এরপর চারশো বছর বৌদ্ধ পাল রাজবংশ এবং তারপর কিছুকাল হিন্দু সেন রাজবংশ এই অঞ্চল শাসন করেন। পাল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র (অধুনা পাটনা, বিহার) এবং পরে গৌড় (মালদহ জেলা)। সেন সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল নবদ্বীপ (নদিয়া জেলা)। এরপর ভারতে ইসলামের আবির্ভাব ঘটলে বঙ্গ অঞ্চলেও ইসলাম ধর্মে প্রসার ঘটে।বকতিয়ার খলজি নামে দিল্লি সুলতানির দাস রাজবংশের এক তুর্কি সেনানায়ক সর্বশেষ সেন রাজা লক্ষ্মণসেনকে পরাস্ত করে বঙ্গের একটি বিরাট অঞ্চল অধিকার করে নেন। এরপর কয়েক শতাব্দী এই অঞ্চল দিল্লি সুলতানির অধীনস্থ সুলতান রাজবংশ অথবা সামন্ত প্রভুদের দ্বারা শাসিত হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল সেনানায়ক ইসলাম খাঁ বঙ্গ অধিকার করেন। যদিও মুঘল সাম্রাজ্যের রাজদরবার সুবা বাংলার শাসকদের শাসনকার্যের ব্যাপারে আধা-স্বাধীনতা প্রদান করেছিলেন। এই অঞ্চলের শাসনভার ন্যস্ত হয়েছিল মুর্শিদাবাদের নবাবদের হাতে। নবাবেরাও দিল্লির মুঘল সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন।
ব্রিটিশ শাসন
পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে বঙ্গ অঞ্চলে ইউরোপীয় বণিকদের আগমন ঘটে। এই সব বণিকেরা এই অঞ্চলে নিজ নিজ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হন। অবশেষে 1757 সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পলাশীর যুদ্ধে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদ্দৌলাকে পরাজিত করেন। এর পর সুবা বাংলার রাজস্ব আদায়ের অধিকার কোম্পানির হস্তগত হয়। 1765 সালে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি স্থাপিত হয়। ধীরে ধীরে সেন্ট্রাল প্রভিন্সের (অধুনা মধ্যপ্রদেশ) উত্তরে অবস্থিত গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের মোহনা থেকে হিমালয় ও পাঞ্জাব পর্যন্ত সকল ব্রিটিশ-অধিকৃত অঞ্চল বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত হয়। ছিয়াত্তরের মন্বন্তরে লক্ষাধিক সাধারণ মানুষের মৃত্যু ঘটে। 1772 সালে কলকাতা ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী ঘোষিত হয়।
বাংলার নবজাগরণ ও ব্রাহ্মসমাজ-কেন্দ্রিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্কার আন্দোলন বাংলার সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক জীবনে গভীর প্রভাব বিস্তার করে। 1857 সালের মহাবিদ্রোহের সূচনা কলকাতার অদূরেই হয়েছিল। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের শাসনভার কোম্পানির হাত থেকে ব্রিটিশ রাজশক্তি স্বহস্তে গ্রহণ করে। ভারত শাসনের জন্য একটি ভাইসরয়ের পদ সৃষ্টি করা হয়।1905 সালে ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতে প্রথম পশ্চিমবঙ্গ অঞ্চলটিকে পূর্ববঙ্গ থেকে পৃথক করা হয়। কিন্তু বঙ্গবিভাগের এই প্রয়াস শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয় এবং 1911 সালে বঙ্গপ্রদেশকে পুনরায় একত্রিত করা হয়।1943 সালে পঞ্চাশের মন্বন্তরে বাংলায় 30 লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলা এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। অনুশীলন সমিতি ও যুগান্তর দলের মতো বিপ্লবী দলগুলি এখানে অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে। বাংলায় ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায় যখন সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। 1920 সাল থেকে এই রাজ্যে বামপন্থী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। সেই ধারা আজও অব্যাহত আছে।1947সালে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের চক্রান্তে ভারত স্বাধীনতা অর্জন ধর্মের ভিত্তিতে বাংলা দ্বিধাবিভক্ত হয়। হিন্দুপ্রধান পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় এবং মুসলমানপ্রধান পূর্ববঙ্গ নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানে যোগ দেয় ,এই অঞ্চলটি পরে পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত হয় এবং 1971সালে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
Other Study Materials
FAQ: West Bengal History | পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস
Q.বাংলার ইতিহাস কি?
Ans.বাংলা হল একটি 4,000 বছরের পুরানো সভ্যতা যা গঙ্গার তীর থেকে ব্রহ্মপুত্রের মধ্যে বিকাশ লাভ করেছিল এবং গাঙ্গেয় বদ্বীপের সম্পদের সাথে নিজেকে টিকিয়ে রেখেছিল।
Q.বাংলার প্রথম রাজা কে?
Anss.গোপাল প্রথম (750-770) ছিলেন এর প্রথম শাসক।
Q.বাংলার প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?
Ans.স্বাধীন বাংলা রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মুর্শিদকুলি খাঁ।
Q.বাংলার প্রাচীন নাম কি ছিল?
Ans.বাংলার প্রাচীন নাম ছিল কলিঙ্গ।
ADDA247 Bengali Homepage | Click Here |
ADDA247 Bengali Study Material | Click Here |